বাকৃবি প্রতিনিধি : প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ৫১তম ব্যাচের ১০৯ জন শিক্ষার্থী প্রথম ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম-২০২৫ এ অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স কক্ষে ইন্টার্নশিপ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থাপনা কো-অর্ডিনেটর ও একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলী রেজা ফারুক।
জানা যায়, বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত ১০৯ জন শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপে অংশগ্রহণ করছেন। ১১টি পৃথক গ্রুপে দেশের বিভিন্ন হ্যাচারি ও ফিশ ফিড ইন্ডাস্ট্রিতে হাতে কলমে কাজ করবেন ইন্টার্ন শিক্ষার্থীরা। তিন মাসব্যাপী (১২ সপ্তাহ) কার্যক্রমের প্রথম ১১ সপ্তাহ তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ বলেন, ২০১৫ সালে মৎস্য অধিদপ্তরে সৃষ্ট ৩৯৫ নতুন পদে নিয়োগের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি খুব শীঘ্রই সকল জটিলতা কাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবো। শুধু অধিদপ্তর নয়, উপজেলা পর্যায়েও আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা যেন আরও সুযোগ পায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থাতেও কাজের অনেক সুযোগ আছে। আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা যেন সেসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা করব।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, আজ মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের প্রথম ইন্টার্নশিপ ব্যাচের যাত্রা শুরু হলো, এটি আরও আগে শুরু হওয়া প্রয়োজন ছিল। কারণ ইন্টার্নশিপ ছাড়া ক্লাসের তত্ত্বীয় জ্ঞান পূর্ণতা লাভ করতে পারেনা। এবছর তিন মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ হচ্ছে, সামনে এটি ছয় মাস হতে হবে। এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি এই ইন্টার্নশিপের পর মাঠ পর্যায়ে হাতে কলমে শিক্ষার ঘাটতি আর থাকবে না। শিক্ষার্থীরা প্রান্তিক পর্যায়ে মৎস্য খাতের অবস্থা বুঝতে পারবে। তারা চাকরিতে গেলে মনস্তাত্ত্বিক ও চিন্তাধারায় এগিয়ে থাকবে। তারা আত্মবিশ্বাস ও যোগ্যতার মাধ্যমে মাৎস্য সেক্টরে গতি আনবে বলে আমি বিশ্বাস করি।